ইনজুরির কারণে এশিয়া কাপের দল থেকে ছিটকে গেছেন পেসার এবাদত হোসেন। ঘরের মাঠে আফগানিস্তান সিরিজে হাঁটুর ইনজুরিতে পড়েন তিনি। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়েও আছে অনিশ্চয়তা। তাই এবাদতের বিকল্প হিসেবে এশিয়া কাপের দলে ডাকা হয়েছে তরুণ তানজিম হাসান সাকিবকে।

দল বিবেচনায় রাখলে এশিয়া কাপেই জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয়ে যেতে পারে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী এই পেসারের। সম্প্রতি ইমার্জিং এশিয়া কাপে তিন ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে নজর কাড়েন তিনি। ৩৭ লিস্ট এ ম্যাচে তার উইকেট ৫৭টি।

বিসিবির চিকিৎসক ডাঃ দেবাশীষ চৌধুরি বলেন, ‘ইনজুরির পর ছয় সপ্তাহ পুনর্বাসনে ছিলেন এবাদত। এই সময়ে অনেক এমআরআই করানো হয়েছে তার। রিপোর্ট বলছে এসিএল এখনও উদ্বেগজনক এবং আরও চিকিৎসা দরকার। তিনি এশিয়া কাপ খেলবেন না।’

এবাদত ইনজুরি সারিয়ে বিশ্বকাপের আগেই ফিরবেন বলে আশাবাদী দেবাশীষ। তিনি বলেন, গুরুত্বের দিক থেকে বিশ্বকাপের মঞ্চই বাংলাদেশের জন্য সেরা ইভেন্ট। বিসিবি আশাবাদী যে,

বিশ্বকাপের আগে এবাদতের সম্পূর্ণ ফিটনেস ফিরিয়ে আনার জন্য এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেন খেলতে পারে সেভাবেই রিহ্যাব প্রক্রিয়া চলবে।’

আগামী ৩১ আগস্ট ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ৩ সেপ্টেম্বর তাদের পরের ম্যাচ লাহোরে, আফগানিস্তানের সঙ্গে।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হাঁটুতে চোট পেয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন এবাদত। বল ছাড়ার ঠিক আগে আম্পায়ারের গাজী সোহেলের সঙ্গে হালকা ধাক্কা লাগায় ‘ফ্ল্যাট ফুট ল্যান্ডিং’ করায় হাঁটুতে চোট পান। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে বিসিবি থেকে বলা হয়েছিল চোট গুরুতর নয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর লম্বা বিশ্রাম দেওয়া হয় তাকে। তবে এশিয়া কাপের ক্যাম্পে প্রথম থেকেই ছিলেন তিনি। টানা অনুশীলনে থাকায় হাঁটুতে সমস্যা অনুভব করেন এবাদত। গত কয়েকদিন ‘নি ক্যাপ’ লাগিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে তাকে।

এশিয়া কাপের দল: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হাসান শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, শেখ মাহেদী, নাসুম আহমেদ, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, আফিফ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, নাঈম শেখ।