সম্প্রতি প্রথমবার বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। এশিয়া কাপ সামনে রেখে প্রথম দিনের অনুশীলন থেকেই এটি দেখা যায়। দেশের ক্রিকেটারদের ফিটনেস উন্নয়নে এই প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে ট্রেনাররা ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোড নেওয়ার ক্ষমতা এবং ফিটনেস সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য স্বয়ংক্রিয় উপায়ে পেয়ে যান। আর এভাবেই টাইগার ক্রিকেট বদলে দিচ্ছে প্রযুক্তি।

তবে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা কী? বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ফেসবুক পেজ থেকে প্রকাশিত হওয়া ভিডিওতে সেটিই বলেছেন স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচ নিক লি।

 

 

তার দাবি, আমরা ক্যাটাপল্ট জিপিএস সিস্টেম ব্যবহার শুরু করেছি। এটার প্রধান সুবিধা হচ্ছে আমাদের জন্য, এখন আমরা সব তথ্য পাচ্ছি খেলোয়াড়রা আসলে কী করছে। যেহেতু আমাদের খুব অভিজ্ঞ কোচদের গ্রুপ আছে।

নিক লি যোগ করেন, আগেও লম্বা সময় ধরেই রানিং করত সবাই, কিন্তু তথ্যের দিক থেকে আমরা কিছুটা অন্ধকারে থাকতাম। এখন খেলোয়াড়রা কী করছে, কতটা দূরত্ব দৌড়াচ্ছে, কতটা গতি ও তীব্রতা নিয়ে দৌড়াচ্ছে; এসব বুঝতে পারি। আমাদের কাছে হার্টরেট আসে। এতে করে নির্দিষ্ট দিনে একজন খেলোয়াড় কতটা ভার বহন করল, তা বোঝা যায়। এটা আমাকে, ফিজিওকে বা মেডিকেল দলের যে কাউকেই ওই খেলোয়াড় সম্পর্কে কোচদের কাছে মতামত দিতে সাহায্য করে। কোনো খেলোয়াড়ের কতখানি ফিটনেস দরকার, এসব বুঝে সেভাবে অনুশীলন পরিকল্পনা করা যায়।

টাইগারদের এই ট্রেনারের মন্তব্য, ক্যাটাপল্ট সিস্টেমের আরেকটি সুবিধা হলো পেস বোলিং অ্যালগরিদম। যখন একজন বোলার বল করে এটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য কম্পিউটারে পাঠিয়ে দেয়; যেমন রান-আপ দূরত্ব, রান-আপের গতি, ক্রিজের লোড। কোচরা বুঝতে পারে, কী ঘটছে। এরপরে তারা যদি মনে করে কোনো বদল আনা দরকার, তারা সেটা করতে পারে। মূলত আমরা কি করছি, তার সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়।