মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ না থাকায় বাংলাদেশের ৭ নম্বর পজিশন নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। এদিকে এশিয়া কাপের প্রাথমিক দলেও জায়গা হয়নি মোসাদ্দেকের।
এশিয়া কাপের জন্য ঘোষিত ১৭ সদস্যের দলে যারা আছেন, তাদের মধ্যে সাত নম্বরে সম্ভাব্য নাম পাওয়া যাচ্ছে চারটি-আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, শামীম হোসেন ও শেখ মেহেদী।
শেষ আফগানিস্তান সিরিজে সাত নম্বরে খেলেছেন আফিফ। তিন ম্যাচের মধ্যে দুটি ইনিংসে (০, ৪) সুযোগ পেয়ে বিশেষ কিছু করতে পারেননি তিনি। তবু তার ওপর আস্থা রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
২০১৯ বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের হয়ে এই পজিশনে সবচেয়ে বেশি খেলেছেন আফিফই। ২০ ম্যাচের ১৭ ইনিংসে ব্যাট করে রান করেছেন ৩৭৬। আফিফের পরই আছেন মিরাজ। ১২ ম্যাচে ৯ ইনিংসে তার মোট রান ১২৪। আপাতত সাত নম্বরে মিরাজের নামটাই বেশি শোনা যাচ্ছে।
এর বাইরে সাত নম্বরের প্রতিযোগিতা বাড়ানোর জন্য দলে রাখা হয়েছে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা শামীমকে। ইমার্জিং এশিয়া কাপের পারফরম্যান্স দিয়ে দলে ঢুকে গেছেন শেখ মেহেদীও।
শেষ পর্যন্ত কে হবেন বাংলাদেশ দলের সাত নম্বর ব্যাটসম্যান? ওয়ানডে ম্যাচের শেষে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের চাহিদাটা কে পূরণ করবেন? বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমূল আবেদীন অবশ্য বলছেন শেখ মেহেদীর কথা, ‘সমন্বয়ের বিষয়টি এখানে গুরুত্বপূর্ণ। তিন পেসার, তিন স্পিনারের দল হলে কিন্তু শেখ মেহেদী চলে আসবে আলোচনায়। সাতে মিরাজ, আটে মেহেদী। এরপর তিন পেসার।’
আমাদের টপ অর্ডারে একটা সমস্যা ছিল। তখন মিডল অর্ডারের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল ছিলাম। লিটন-শান্তরা ভালো করায় সেটা অনেকটা কমে এসেছে। আর মিডল অর্ডারে হৃদয়ের আসাটা দলের জন্য বিগ প্লাস। আশা করব, সে যেভাবে খেলছে, তা ধরে রাখবে। আর লোয়ার মিডল অর্ডারে যারা আছে, সবাই পজিটিভ প্লেয়ার, সবাই একটা জায়গার জন্য লড়ছে। এটা দলের জন্য ভালো।
নির্বাচক হাবিবুল বাশার স্বাভাবিকভাবেই আলাদা করে কারও নাম বলতে চাইলেন না। নিরাপদ পথে হেঁটে তিনি সবার মধ্যেই ভালো সম্ভাবনা দেখেন, ‘যে চারজনের নাম বলছেন, এরা সবাই দলের জন্য খেলে। ওই জায়গায় রানটা বড় হয় না। ঝুঁকি নিতে হয়। কিন্তু ওরা দলের জন্য খেলে। এটাই সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট। আর ওদের মধ্যে ওই জিনিসটা আছে। তখন তো বড় ইনিংসের দরকার নেই। যে কাজ ওদের করতে হবে, সে জন্য যে দক্ষতা দরকার, তা ওদের আছে। সাহসও আছে। ওরা সবাই তরুণ। এখন ওরা অ্যাডভেঞ্চারাস হবে। সেদিক থেকে ওদের নিয়ে আমরা আশাবাদী।’