‘তাড়াতাড়ি ছবিটা তোলেন ভাই’—বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে নিজের ছবি তুলতে পরিচিত এক আলোকচিত্রীকে তাড়া দিচ্ছিলেন তাসকিন আহমেদ। নিজের অনুভূতি জানিয়ে এরপর যে তাঁকে অনুশীলনে যোগ দিতে হবে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ের নেতা জানিয়েছেন বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের লক্ষ্যের কথাও।
তাসকিন মনে করেন, বাংলাদেশের পেস বোলিং বিভাগ এখন ভালো অবস্থায় আছে। এবার বিশ্বকাপে বাংলাদেশর সম্ভাবনা জানাতে গিয়ে বললেন, ‘টিম ওয়ার্ক, মাঠে সর্বোচ্চ নিবেদন এবার ভিন্ন কিছুই হতে পারে।’ পদ্মা সেতু হয়ে বিশ্বকাপ ট্রফি আজ এসেছে মিরপুরে। ড্রেসিংরুম থেকে ট্রফিটা অবশ্য মাঠে নিয়ে আসেন মুশফিকুর রহিম।
বেশ সময় নিয়ে ট্রফিটা নিয়ে কদম বাড়িয়েছেন মুশফিক। ব্যাপারটা এমন যে হাতে যতক্ষণ বেশি সম্ভব রাখা যায়। মুশফিক ট্রফি আনার আগেই মঞ্চে ওঠেন এশিয়া কাপের প্রাথমিক দলের ক্যাম্পে থাকা ক্রিকেটাররা। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ডের সামনে সাজানো মঞ্চে মুশফিক ট্রফি রাখেন।
এরপর ক্রিকেটাররা সবাই একসঙ্গে তুললেন ছবি। তানজিদ হাসান তামিম বা তানজিম হাসান সাকিবের মতো একেবারে তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে থাকলেন মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো অভিজ্ঞরাও। তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হন মাঠে থাকা কোচিং স্টাফের সদস্যরা। ছুটি কাটিয়ে না ফেরায় ছিলেন না প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে।
একসঙ্গে তোলার পর আলাদা করেও ছবি তোলেন ক্রিকেটাররা। কখনো তানজিম হাসান সাকিব তো কখনো ফটোগ্রাফারের দায়িত্ব নেন রিশাদ হোসেন। ট্রফি ছেড়ে যাওয়ার আগে তাতে চুমুই এঁকে দেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। ট্রফি সামনে রেখে নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন মুশফিকুর রহিমও। অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের মেলবন্ধনে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্বপ্নের সীমানাও ছড়িয়ে দিয়ে গেছেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।